খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা।
খাদ্য ও পুষ্টি
পুষ্টি বিজ্ঞান অনুসারে আমরা যা খাই তার সবই কিন্তু খাদ্য নয়। শুধু সেই সব অপরিহার্য বস্তু কে খাদ্য বলা যাবে যেগুলো জীবদেহে বৃদ্ধি ,শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ও ক্ষয় পূরণ করে, এককথায় দেহের পুষ্টি সাধন করে। পুষ্টি হলো পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য বস্তু আহরণ করে খাদ্যবস্তু পরিপাক ও শোষণ করা এবং আত্তীকরণ দ্বারা দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ ,রোগ প্রতিরোধ , বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ করা। পুষ্টির ইংরেজি শব্দ নিউট্রেশন(nutrition) অপরদিকে খাদ্যের যেসব জৈব ও অজৈব উপাদান জীবনে শক্তির যোগান দেয়। তাদের একসঙ্গে পরিপোষক বা (netrients) বলে । যেমন; গ্লুকোজ ,খনিজ লবণ,ও ভিটামিন ইত্যাদি হচ্ছে netrients। পরিপোষক এর পরিপাকের প্রয়োজন হয় না। প্রাণীরা খাদ্যের মাধ্যমে পরিশোষক গ্রহণ করে।
আমরা বলতে পারি খাদ্যের কাজ প্রধানত তিনটি
১. খাদ্য দেহের গঠন, বৃদ্ধিসাধন ,ক্ষয়পূরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
২. খাদ্যা দেহে তাপ উৎপাদন করে ,কর্মশক্তি প্রদান করে।
৩. খাদ্য রোগ প্রতিরোধ করে, দেহকে সুস্থ ও সবল এবং কর্মক্ষম রাখে।
খাদ্যের উপাদান
খাদ্যের উপাদান কয়টি সেগুলো হলো: শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন ,খনিজ লবণ এবং পানি। এগুলোর মধ্যে শর্করা, আমিষ ,স্নেহপদার্থ বা ফেট দেহ পরিপোষক খাদ্য। খাদ্যের স্নেহ এবং শরকরা কে বলা হয় খাদ্য শক্তি উৎপাদক খাদ্য এবং আমিষ যুক্ত খাদ্য কে বলা হয় দেহ গঠনের খাদ্য। ভিটামিন ,খনিজ লবণ ও পানি দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান, যেগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
খাদ্যের উপাদান দুইটি
মুখ্য উপাদান। । সহায়ক উপাদান
।
শর্করা, আমিষ ,স্নেহ। । ভিটামিন,খনিজ লবণ । পানি।
।
।
------------------------------------------------------------------
0 মন্তব্যসমূহ